বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে পাট গুরুত্বপূণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিগত দিনে আমাদের সিংঘভাগ বৈদেশিক মুদ্রাই অর্জিত হতো পাট খাতের মাধ্যমে। এখনও পাট আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের এক পঞ্চমাংশ জনগোষ্ঠী এখনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই খাতে জড়িত।
পাটের বহুমুখীকরণ তথা পাটের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও এর ব্যবহার বৃদ্ধিতে সহায়তাকল্পে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০২ সালে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) প্রতিষ্ঠিত হয়।
জেডিপিসি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য
প্রচলিত পাটপণ্য সামগ্রীর পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোক্তাদের উচ্চমূল্য সংযোজিত উন্নতমানের বহুমুখী পাটপণ্য সামগ্রী উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে জেডিপিসি স্থাপিত হয়।
মূখ্য কার্যক্রম
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালেয়ের সচিবের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের স্টীয়ারিং কমিটি জেডিপিসি’র গভর্নিং বডি হিসেবে কাজ করে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় জেডিপিসি’র কার্যাবলী নিয়মিত মনিটরিং করে থাকে।
জেডিপিসি’র কেন্দ্রীয় অফিস ১৪৫, মনিপুরিপাড়া, তেজগাঁও ঢাকায় অবস্থিত। এছাড়াও সারা দেশে কার্য পরিচালনার জন্য ০৬ টি জুট এন্ট্রীপ্রেনিয়র সার্ভিস সেন্টার (জেইএসসি) রয়েছে। সেন্টার গুলো হলোঃ
১) ঢাকা জেইএসসি
২) রংপুর জেইএসসি
৩) যশোর জেইএসসি
৪) চট্টগ্রাম জেইএসসি
৫) টাঙ্গাইল জেইএসসি এবং
৬) জামালপুর জেইএসসি